স্ত্রী ও সন্তান এখনই প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে আসুক, সেটি চাইছেন না আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। যে কারণে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে নিজেরসহ স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়নের নাম বাদ দিতে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছেন তিনি। শামীম ওসমানের এই সিদ্ধান্তের প্রতি একমত পোষণ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।
সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের পর প্রকাশ পায় ওই কমিটির ১নং থেকে ৩নং কার্যকরী সদস্যের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার স্ত্রী ও জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়নের নাম। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও তাদের তিনজনের পরিবর্তে অপর তিনজন ত্যাগী নেতার নাম দিয়ে মূল্যায়িত করার মত দিয়েছেন শামীম ওসমান।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগকে দেওয়া শামীম ওসমানের ওই চিঠিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে তিনিসহ স্ত্রী ও ছেলের নাম রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষিয়ে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্যাডে লেখা ওই চিঠিতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান লিখেছেন- ‘আমি ও আমার পরিবার মনে করছি, ফতুল্লা থানা এলাকায় আমাদের চেয়েও ত্যাগী, যোগ্য ও রাজপথের অসংখ্য সক্রিয় নেতাকর্মী রয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আমাদের মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছেন। আমরা মনে করি, ওই তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে আমাদের পরিবর্তে উল্লেখিত ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে আপনারা তিনজনকে নির্বাচন করে তাদের মূল্যায়িত করলে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হব।’