in ,

কারাগারের দেয়াল টপকেই পালান হত্যা মামলার আসামি রুবেল

তিন দিন পর অবশেষে কারাবন্দি আসামি রুবেল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার রহস্য ভেদ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি।

সোমবার (০৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনার ডিআইজি প্রিজন ছগীর মিয়া জানিয়েছেন, কারাবন্দি রুবেল গত ৬ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কারাগার থেকে পালিয়েছে। কারা অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সীমানা লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তথ্য থেকে এ তথ্য জানান তিনি।

ডিআইজি ছগীর মিয়া জানান, অন্যান্য বন্দিদের সাথে তাকে রাখা হয়েছিল কর্ণফুলী ভবনের (১৫ নম্বর পানিশমেন্ট ওয়ার্ডের) ছয় তলায়। সে যে বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে অপরাধমূলক কাজ করে তাদের চব্বিশ ঘণ্টার জন্য সেখানে রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী ভবনের নিচ তলা দিয়ে বের হয় রুবেল। আরেক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় রুবেলকে ফাঁসির মঞ্চের পাশের ভবন থেকে সীমানা দেয়ালের বাইরে লাফ দিতে দেখা যায়। ফলে, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে রুবেল কারাগার থেকে পালিয়েছে। সে পানির টাঙ্ক কিংবা ম্যানহোলে পড়ে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নাই, সেই ব্যাপারেও ধারণা পাওয়া গেছে।

এর আগে সকালে কারা কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরু করে।

প্রথমে তারা ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে যান। পরে কারাগারের অভ্যন্তরে তারা প্রবেশ করেন। সমন্বিতভাবে সব কিছু মাথায় রেখে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।

সেই সাথে রুবেল কারাগারের অভ্যন্তরে কোথাও আছে নাকি বের হয়ে গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিস দিয়ে ম্যানহোলসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালায়। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ছয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়।

নিখোঁজের ঘটনায় খুলনার বিভাগের ডিআইজি প্রিজন ছগীর মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলার ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্যও করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রির্পোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার কারাগার থেকে নিখোঁজ হন ফরহাদ হোসেন রুবেল। নগরীর সদরঘাট থানার দায়ের করা হত্যা মামলা আসামি ছিল সে।

পাকিস্তানের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

জিয়া ২৫ ও ২৬ মার্চ মানুষ হত্যা করেছেন: শেখ হাসিনা