বাস শ্রমিক কর্তৃক ববি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত ও লাঞ্ছিতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। গত রাত ১টার দিকে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওরফে বরিশাল বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিপনের নেতৃত্বে মানিক ও মামুন তার দলবল নিয়ে বরিশাল রুপাতলী হাউজিংয়ের আবাসিক এলাকার ১৯, ২২ ও ২৩ নং রোডে অবস্থিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ৭টা থেকেই বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়। ওদিকে হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শেখ সজিব, মিরাজ, ইমন, দোদল ফরাজী, মাহবুবুর রহমান গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম,ফজলুল হক রাজিব,সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলিম সালেহী, রসায়ন বিভাগের সোহানূর সোহান, তানিম, বাংলা বিভাগের রাজন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের নূর উল্লাহ সিদ্দিকি, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের আলী হোসেন। আহতরা বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ বিল্লাহ বলেন, আমাদের বন্ধু সজিবকে ওরা যখন মারছিলো তখন পুলিশ সামনে ছিলো। তাদের কোনো ভূমিকা ছিলো না। পরে তারা এসে ছত্রভঙ্গ করে।
একটু আগে সজিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীদের দ্বারা একাধিকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। এদিকে ঘটনার খবর শুনে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে রুমে বসেই আতঙ্কে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক ইট পাটকেল ছিটিয়ে অবরোধ করে রেখেছে। এদিকে কয়েক দফায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিপনকে নিয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গতকাল ১৬ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাস শ্রমিক রফিক কর্তৃক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও ঢাকা-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্ত রফিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।