in

প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেলেন মিরাজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন দুই ম্যাচে। এতে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসি’র ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে। এমন অর্জনে বিস্ময়ে বিভোর মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে আসতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আসবো। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। পরের ম্যাচে ২৮ রানে তিনটি। এতে র‌্যাঙ্কিংয়ে এই অফ স্পিনার তিন ধাপ উপরে উঠে এসেছেন।
পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট- ৭২৫। চূড়ায় থাকা ট্রেন্ট বোল্ট তার চেয়ে কেবল ১২ পয়েন্টে এগিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দুইয়ে উঠতে পেরেছিলেন কেবল দুই জন। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে উঠেছিলেন শীর্ষে আর ২০১০ সালে আব্দুর রাজ্জাক দুইয়ে। মিরাজ বলেন, ‘এটি তার ভাবনার বাইরে ছিল।’ তবে এই প্রাপ্তির পিছনে পরিশ্রমের গল্পও আছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম যখন খেলা শুরু করি, তখন কিন্তু টেস্ট দিয়েই শুরু করেছিলাম। প্রথমদিকে ওয়ানডেতে তেমন সুযোগও পাইনি। আমি কন্টিনিউ ওয়ানডে খেলছি ২০১৮ সাল থেকে, যেটা আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুর হয়েছিল, আমরা যেটা জিতেছিলাম। এরপর থেকে আমি কন্টিনিউ ওয়ানডে খেলছি। তারপর এশিয়া কাপ, দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ট্যুর, বিশ্বকাপ খেলেছি। ওখান থেকে স্টার্ট হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে। ওখান থেকে ছোট ছোট পারফর্ম করতে করতে আজকে এই জায়গায়। আমি যেটা সবসময় চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় যে, ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য অনেক তাড়া থাকে। তাই আমি মনে করেছি যে, আমার যদি ওই জায়গাটায় ফোকাস থাকে, আমি যদি ভালো করতে পারি তাহলে আমার সুযোগ বেশি থাকবে।’

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগটাও মিরাজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এই অফস্পিনার বলেন, ‘আর যেটা বলবো বিশ্বকাপ। সেটা অনেক বড় একটা ইভেন্ট ছিল। যা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে। সেখানে অনেক ওয়ার্ল্ডক্লাস প্লেয়ার থাকে আপনারা জানেন। আর অবশ্যই বাংলাদেশ দলে আমরা খেলেছি। ইংল্যান্ডে তো স্পিন ট্র্যাক না। আমি চেষ্টা করেছি যে, যতটুকু সম্ভব নিজে ভালো করা যায়। কারণ, ওয়ার্ল্ডকাপে অনেক ভালো উইকেট থাকে। আমি নিজেকে মেন্টালি ওইভাবে সেটআপ করেছিলাম যে, আমি যদি উইকেট নাও পাই, ব্যাটসম্যান যেন আমাকে মারতে না পারে, আমার ওপর ডমিনেট না করতে পারে। আমি যেন টিমের প্রয়োজনে যেকোনো সময় রান চেক দিয়ে ২-১টা উইকেট বের করতে পারি। ওটাই চেষ্টা করেছি। কয়েক ম্যাচে হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে হয়েছে, নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের সঙ্গেও ২ উইকেট করে পেয়েছি। ছোট ছোট জিনিসই অনেক সময় পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি সেগুলো নিয়েই চিন্তা করেছিলাম।’
নিজের এই অর্জনে দলের সতীর্থ থেকে শুরু করে সবাইকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি তরুণ এই অফস্পিনার।

৭ জুন থেকে ভ্রমণ করা যাবে স্পেন

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে