মধুপুরে বিদ্যুতের মিটার সংযোগ দিতে দেরি হওয়ায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুজন মিয়া (২৬) কে বেড়ধক পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তার মৃত্যুতে বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ধলপুর বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চাপড়ী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম সবুজ, গাবতলী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আল মামুন, ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম স্বপন, নিহত সুজনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন ও তার বোন চায়নাসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ। বক্তারা সুজনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ ফাঁসির দাবী জানান।
কুড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী জানান, কুড়ালিয়া ইনিয়নের ধলপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে নিহত সুজন মায়মনসিংহ-১ পল্লী বিদ্যুত সমিতি মধুপুরের নিয়মিত একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলো। প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন তার মেয়ের জামাইয়ের বাড়ীতে বিদ্যুতের মিটার লাগানোর জন্য সুজনকে ১৫’শত টাকা মিটার সংযোগের খচর বাবদ দেন। মিটার সংযোগ দিতে দেরি হলে গত রবিবার সুজনের কাছে টাকা ফেরত চায়। এ নিয়ে সুজন ও জয়নালের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজনকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থলেই সুজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
পরে স্থানীয়রা সুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সুজনের অবস্থা বেগতি দেখে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসরা সুজনের অবস্থার আরও অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোমবার (০৪ জানুয়ারী) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সুজনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- ধলপুর গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে মহির উদ্দিন (৪১), মৃত-দারাগ আলীর ছেলে ইউছুব আলী (৬০)।