সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন সভায় দেয়া আমার বক্তব্য নিয়ে একটি কুচক্রি মহল নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার তিনবারের মেয়র ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গত কয়েকদিনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর নোয়াখালী ও স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে যেসব কথা বলেছেন- এ নিয়ে তার নিজ দলের প্রতিপক্ষরা যেসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে সে বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে মঙ্গলবার তার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মানুষের মাঝে। আমি শুধুমাত্র একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়, এ জন্য নানা নির্বাচনী কর্মসূচিতে আমি কথাগুলো বলেছি।
এছাড়াও বিগত একযুগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়গুলোও আমার বক্তব্যে আমি উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু কোনো কোনো গণমাধ্যমে সেগুলো বিস্তারিত উল্লেখ না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যের খণ্ড অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে।
আমি শুধুমাত্র বৃহত্তম নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে আমি কোনো বক্তব্য রাখিনি।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভাতের অধিকার নিশ্চিত হলেও ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয়নি। এজন্যই আমার স্লোগান ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছা তাকে দেব’।
আবদুল কাদের মির্জা বলেছিলেন, প্রশাসনকে বলতে চাই, পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের উদ্দেশ্যে পরিবেশ সৃষ্টি করুন। নির্বাচনে কোথাও কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। মা-বোনসহ সবাইকে বলতে চাই, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। কেউ ভোট কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে কোনো ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মুখে মারবেন। না পারলে আমাকে জানাবেন।