চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঝিলিক। গেলো ঈদে গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। ঈদের পর কয়েকদিনের বিরতি নিয়ে ফের কাজ শুরু করেছেন। এবারের ঈদ কেমন কেটেছে? উত্তরে ঝিলিক বলেন, ঈদ কেটেছে গানে গানে। আর এভাবেই ঈদ পার করতে ভালো লাগে আমার। একজন শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভালো লাগে। ঈদের দিন বাংলা টিভিতে সরাসরি গান গেয়েছি। এর কদিন পরই করেছি এশিয়ান টিভিতে লাইভ।
সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে ঈদ। স্টেজ শো তো বন্ধ আছে। সময় কাটছে কিভাবে? ঝিলিক বলেন, পরিবার ও সংগীত চর্চা করেই সময় কাটছে। যখন সময় পাই তখনই চর্চা করি। আমার বাবাও একজন শিল্পী। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে বসেও গানের চর্চাটা চলে। তবে ইদানিং একটা বিষয় খুব ভাবাচ্ছে। সেটা কি? ঝিলিক বলেন, স্টেজ শো বন্ধ থাকায় আমাদের শিল্পীদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মিউজিশিয়ানরাও সমান ক্ষতির মুখে পড়েছেন। করোনার এই পরিস্থিতি সহসাই কাটবে বলে মনে হয় না। কিন্তু সামনে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। গত বছরের করোনার ধাক্কাই সামলে উঠতে পারিনি আমরা। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর শেষ কোথায় জানি না। এরমধ্যে নতুন গান করা হয়েছে? এ গায়িকা বলেন, সবশেষ এ মাসের শুরুতে মা দিবসে একটি গান প্রকাশ করেছিলাম। ‘মাগো মা’ শিরোনামের সেই গানটির কথা লিখেছেন জামাল হোসেন। আর সুর করেছেন মুহিন। ভিডিওসহ গানটি প্রকাশ হয়। এর বাইরে কয়েকটি গান করা আছে। সেগুলো বছরের নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রকাশ হবে। গানে এ পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কারা রয়েছেন? ঝিলিক বলেন, অবশ্যই আমার বাবা-মা। তাদের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও সহযোগিতা না পেলে কখনই এতদূর আসতে পারতাম না। এখনও স্টেজ শো কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে গেলে বাবা-মা আমার সঙ্গে থাকেন। সৃষ্টিকর্তার পর তারাই আমার ভরসার জায়গা।