in

এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না মেসিরা

ম্যাচের আগে বলেছিলেন, জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জেতা। দেখেছিলেন এবারের কোপায় নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় সম্ভাবনাও। কিন্তু কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসি নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন, ওই পথে তার ওপর নির্ভরতা কতটা। সামনে তাদের জন্য অপেক্ষায় কেমন কঠিন পথ।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ড্র করে নিজেদের কোপা মিশন শুরু করেছে আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টিনার পক্ষে একমাত্র গোলটি এসেছে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে। টানা তৃতীয় ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও ড্র করে মাঠ ছেড়েছে লিওনেল স্ক্যালোনি শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা নিজেদের গুছিয়ে নিতে থাকে ধীরে ধীরে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের এখনকার নিয়মিত দৃশ্য ফাউল। দিন দিন যেন আরও বেশি শরীর নির্ভর হয়ে যাচ্ছে তাদের খেলা।

তাতে বারবারই খেলার গতি আসছিল কমে। গোল মিসের মহড়াও অবশ্য দিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশেষত নিকোলাস গঞ্জালেস। দুইটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। প্রথমটি ছিল ১৭ মিনিটে। সহজ সুযোগ পেয়েও ক্লদিও ব্রাভোর স্রেফ হাতে তুলে দিয়েছিলেন বল।


পরেরটি ৭৯ মিনিটে। মেসির বাড়ানো বলে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন গঞ্জালেস। কিন্তু আবারও মিস করেন তিনি। আর্জেন্টিনা আগে-পরে গোল মিস করেছে আরও, মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা লাউতারো মার্টিনেজও হারিয়েছেন গোলের সুযোগ। তবে তাদের জন্য আরও একবার রক্ষা কর্তা হয়েছেন লিওনেল মেসি। গোল অবশ্য তিনি চিলির আগেই করেছিলেন।

প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে লো সেলসোকে করা ফাউলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির সেই ফ্রি কিক আটকানোর সাধ্য ছিল না ক্লদিও ব্রাভোর, বলে মাথা লাগাতে পারেননি চিলির কোনো ডিফেন্ডারও। ওই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ছিল স্বস্তিতে।

কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে চিলি। ৫৬ মিনিটে বক্সের ভেতরে টাগ্লিয়াফিকোর সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে গিয়েছিলেন ভিদাল। আবেদন করেন পেনাল্টির। রেফারি প্রথমে সাড়া না দিলেও ভিএআর সিদ্ধান্ত বদলায়। পেনাল্টি পায় চিলি।

ভিদালের নেওয়া শট অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে ছিলেন না কোনো ডিফেন্ডার। সুযোগটা কাজে লাগান এডোয়ার্ড ভার্গাস। হেডে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ান তিনি। খেলায় সমতা ফিরে আসে।

এরপর ডি মারিয়া, আগুয়েরোদের মতো অভিজ্ঞদের নামালেও কাজ আর হয়নি। ছিল না গোছানো আক্রমণ কিংবা ভালো কোনো পরিণতি। টানা তৃতীয় ম্যাচে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।

২৮ বছরের আক্ষেপ ঘোঁচানোর যে ডাক এসেছে। সেই পথটা যে কতটা কঠিন হবে মেসির জন্য, সেটা তিনি টের পাওয়ার কথা চিলির বিপক্ষে ম্যাচেই। এখন দেখার বিষয়, গোল মিসের এই মহড়া অথবা ঘুরেফিরে সেই ড্রয়ের বৃত্তে আর্জেন্টিনা কতদিন আটকে থাকে। নাকি এবারই ইতি টানা যায় শিরোপা জেতার ‘শেষ হয়েও হলো না শেষ’ যাত্রার।

জাবির শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

২০ মিনিটের পথে লাগছে ৫ ঘণ্টা