in

কোথায় ভর্তি হবেন? এক নজরে দেখুন দেশের সেরা ২০ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়

আবু তালহা

শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম থাকা সত্ত্বেও দেশে রয়েছে বেশ কিছু সুনামধন্য পাবলিক ও প্রাইভেট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উচ্চ শিক্ষার জন্য নানা করণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় অনেকেরই পছন্দ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সমান নয়, এমনকি দেশে এমনও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলোর টিকে থাকাই অনিশ্চিত। ফলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার আগে জানতে হবে প্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কে। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের সেরা ২০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো:

১. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। অধ্যাপক আতিক ইসলাম বর্তমান উপাচার্য। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১২ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। এর মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০ হাজার ২৫ জন এবং ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ৭৩৭ জন।

২. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক, তারাই এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে ২০০১ সালে। অধ্যাপক ড. ভিনসেন্ট চ্যাং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বর্তমান উপাচার্য। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মহাখালীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কে কয়েকটি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালায়। এটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ৫ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে। চালুর সম্ভাব্য সময় ২০২০ সাল ধরা হয়েছে। ১৬টি বিষয়ে স্নাতক , ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও চারটি বিষয়ে ডিপ্লোমাসহ মোট ৩৮টি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম রয়েছে এখানে। এই ইউনিভার্সিটির মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮ হাজার ৩০৩ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৭৫৭ জন। শিক্ষার্থীদের এই ইউনিভার্সিটির সাভার আবাসিক ক্যাম্পাসে বাধ্যতামূলক একটি সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হয়।

৩. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর অন্যতম। ড. এমএম শহীদুল হাসান ইস্ট ওয়েস্টের বর্তমান উপাচার্য। শুরুর দিকে ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে ইস্ট ওয়েস্ট। ২০১২ সালে ৪ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুটের স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালু হয়। ক্যাম্পাসটি আফতাবনগরে অবস্থিত। ১৫টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে ১৪টি বিষয়ে স্নাতক ও ১৩টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স অফার করে থাকে এই ইউনিভার্সিটি। এখানে শিক্ষার্থী-সংখ্য ১১ হাজার ৯৩৫ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪০১ জন।

৪. ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি স্থাপিত হয় ১৯৯৩ সালে। অধ্যাপক মিলান পেগান এই ইউনিভার্সিটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। ১৯টি বিভাগে ২৯ টি বিষয়ে স্নাতক ও ১৫টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স অফার করে থাকে আইইউবি। এই ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিন একর জায়গার ওপর। স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু হয় ২০১০ সালে। মোট শিক্ষার্থী-সংখ্যা ৬ হাজার ৯৩৫ জন এবং ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ৪৬৬ জন ।

৫. আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ঢাকা আহসানিয়া মিশন এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে ১৯৯৫ সালে। ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় তেজগাঁওয়ের ১.৬ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে। ড. এএমএম সাফিউল্লাহ বর্তমান উপাচার্য। আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি আটটি স্নাতক কোর্স অফার করে থাকে। ইউনিভার্সিটির একটি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউটও আছে যেখানে সাতটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭ হাজার ৬৯ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪৮২ জন।

৬. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে। ড. কারমেন জেড লামাগনা বর্তমান উপাচার্য। ১৮টি বিভাগের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি ২৩টি বিষয়ে স্নাতক ও ১৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু আছে। কুড়িলের কুড়াতলি রোডে ১৩ লাখ বর্গফুট অবকাঠামোগত জায়গা নিয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯ হাজার ৭৬২ জন ও ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ৩৬৩ জন।

৭. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কার্যক্রম শুরু করে ২০০২ সালে। ইউনিভার্সিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে প্রতিষ্ঠাতাদের ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমান উপাচার্য ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এটি শুরু থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা দেয়। ১০ লাখ ৮৫ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। ধানমন্ডির মিরপুর রোডে ড্যাফোডিল টাওয়ারে ক্লাস হয়। ২৩টি বিভাগের অধীনে ২০টি বিষয়ে স্নাতক ও আটটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স অফার করে থাকে ড্যাফোডিল। এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮ হাজার ২৯০জন এবং মোট শিক্ষক সংখ্যা ৭৫৮জন।

৮. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

ইউআইইউ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। বর্তমান উপাচার্য ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান । ১০টি বিষয়ের ওপর ১৩টি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে ইউআইইউ। যার মধ্যে সাতটি স্নাতক ও ছয়টি স্নাতকোত্তর । ধানমন্ডিতে এর দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সাত মসজিদ রোডে প্রধান ক্যাম্পাস অবস্থিত। যার আয়তন ৮০ হাজার বর্গফুট। বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড সিটিতে ইতোমধ্যে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হয়েছে এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস এখানে স্থানান্তরিত হয়েছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬৫৮৬ জন ও শিক্ষক সংখ্যা ২৯৪জন।

৯. ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ

ইউল্যাবের যাত্রা শুরু ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে। এই র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে অবস্থানকারী ইউনিভার্সিটির মধ্যে এটির বয়স সবচেয়ে কম। অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক বর্তমান উপাচার্য। ২০০৬ সালে ধানমন্ডিতে নিজেদের ভবনে কার্যক্রম শুরু করে ইউল্যাব। ২০০৮ সালে একই এলাকায় আরেকটি নিজস্ব ভবন যুক্ত হয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে। মোহম্মাদপুরের রামচন্দ্রপূরে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮২৯ বর্গফুট অবকাঠামোগত স্পেসসহ কয়েক একর জায়গার ওপর একটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে তাদের কার্যক্রম শিফট করেছে ইউল্যাব। ইউল্যাব ছয়টি বিষয়ে স্নাতক ও চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স অফার করে থাকে। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজার ৫৬৪ জন এবং ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ২৮৩ জন।

১০. দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। ফার্মগেটে ৩০০২১৯ বর্গফুট অবকাঠামোগত স্পেস নিয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসে এটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী। তারা আটটি স্নাতক ও নয়টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স অফার করে থাকে। এখানে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫ হাজার ৪৫৬ জন ও ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ২৭৫ জন।

১১. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম

অলাভজনক সংস্থা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম ট্রাস্ট (আইইউসিটি) ১৯৯৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করে। প্রতিষ্ঠার সময় এর নামকরণ করা হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম হিসেবে এরপর ২০০০ সালে নাম পরিবর্তন করে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান উপাচার্য হলেন অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিন। চট্টগ্রামের কুমিরায় অবস্থিত ৬ লাখ ১৩ হাজার ৯১৫ বর্গফুটের অবকাঠামো নিয়ে গড়ে ওঠা ইউনিভার্সিটিতে ৩৯২ জন শিক্ষক কর্মরত এবং দেশ-বিদেশের ৯ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। এই ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ১০ টি স্নাতকোত্তর, ১২ টি স্নাতক এবং ২ টি ডিপ্লোমা কোর্স অফার করে থাকে।

১২. সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বর্তমান উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু সংখ্যক স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডিপ্লোমা কার্যক্রম প্রদান করে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, ব্যবসায়িক শিক্ষা অনুষদ এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে বিভাজিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০ হাজার ২৭৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন যাদের শিক্ষাদান করছেন ৪৮৩ জন শিক্ষক।

১৩. স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

২০০২ সালে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রথম আইএসও সনদপ্রাপ্ত ইউনিভার্সিটি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকি। ঢাকায় একাধিক ভবনবিশিষ্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইংরেজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যা, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্যবিদ্যা, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিস, অর্থনীতি, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিস, লোকপ্রশাসন বিদ্যার মতো শিক্ষা কার্যক্রমগুলো দিয়ে থাকে। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি খুব শিগগিরই মুগদা’র গ্রিন মডেল টাউনে অবস্থিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৭ হাজার ৬৫৪ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৯৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।

১৪. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি’র বর্তমান উপাচার্য হলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সালেহ। ব্যবসা, প্রকৌশল, ফলিত বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন–এই পাঁচ অনুষদে বিভক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস রূপনগর, মিরপুরে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটিতে ৮ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৩০০ জন শিক্ষক রয়েছেন।

১৫. ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদ আক্তার হোসেন। এই ইউনিভার্সিটিতে চারটি অনুষদ রয়েছে। এগুলো হলো–কলা অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং আইন অনুষদ।
উল্লেখ্য, এ বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন বিভাগ হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউজিসির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৮ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ১৯৭ জন।

১৬. নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইবিএটি) ট্রাস্ট কর্তৃক ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরায় অবস্থিত এই ইউনিভার্সিটি ব্যবসা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, কলা ও মানবিক, আইন এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান–এই ৫টি অনুষদে বিভক্ত। শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের পাঠ-সহায়ক কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে। এতে ৬ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী এবং ২৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন।

১৭. ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

এটি বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। ১৯৮৯ সালে প্রথম পরিকল্পনা শুরু হওয়ার দু’বছর পর ১৯৯১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মো.আলিমুল্লাহ মিয়া। তিনিই প্রথম উপাচার্য ছিলেন। ২০১৭ সালের ১০ মে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে অধ্যাপক ড. আব্দুর রব উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরা মডেল টাউনে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা এই ইউনিভার্সিটির ৭টি কলেজ ও ৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এখানে ৮ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং ৩০৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

১৮. ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউডা’র উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ। এর ক্যাম্পাস ধানমন্ডিতে অবস্থিত। এতে ছয়টি অনুষদ রয়েছে–কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, আইন ও মানবাধিকার অনুষদ, যোগাযোগ ও মিডিয়া স্টাডিজ অনুষদ, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ সায়েন্স অনুষদ। এখানে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থী এবং ২৫৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

১৯. গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

একটি বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার পীঠস্থান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ১৯৯২’-এর অধীনে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম সামদানী ফকির এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন। বিজ্ঞান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আইন অনুষদ ও আরও ৫টি কেন্দ্র নিয়ে এই ইউনিভার্সিটি গড়ে উঠেছে। এর বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫ এবং শিক্ষক সংখ্যা ২১৪ জন।

২০. মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হাফিজুল ইসলাম মিয়া ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে কর্মরত আছেন। এই বিদ্যাপীঠটি সাতটি বিভাগের অধীনে ২টি স্নাতকোত্তরসহ মোট ৯টি কার্যক্রম প্রদান করে থাকে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ২টি কেন্দ্রও রয়েছে। এখানে ২ হাজার ৮৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ১০৪ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের প্রথম স্কুলটি

ইসরায়েলি বোমা বৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের আকাশে অদৃশ্য ঈদের চাঁদ