in ,

ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে আরও দুই মাস

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া ২ মাস পিছিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ ৫ মে একদফা বৈঠক করেছে। ঈদের ছুটির পর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাসের চিন্তাভাবনা আছে।

পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (চুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে একদফা আলোচনা হয়েছে। এতে পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে পক্ষে-বিপক্ষে মত এসেছে। তবে সবাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঈদের পরের বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। এই সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি-লড়াইয়ের সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী ২১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ভর্তি লড়াই শুরু হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে পরীক্ষার তারিখ ইতোমধ্যে পুনর্নির্ধারণ করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ হিসাবে এবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২ মাসের বেশিদিন পিছিয়ে গেছে। কেননা সাধারণত শিক্ষার্থীর পছন্দের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এবারও সূচি নির্ধারণে এই নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল।

দেশে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলোর মধ্যে ৩৯টিতে প্রথম বর্ষ অনার্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। এবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুরোনো পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা পরীক্ষা নিচ্ছে। এগুলো হলো- বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রায় ৪শ কলেজ অনার্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করে। তবে কয়েক বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ছাড়া কেবল ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করছে। সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আলাদা পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। বাকি ৩০টির মধ্যে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ৭ কৃষি এবং ২০ সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা তিন গুচ্ছে ভাগ হয়ে পরীক্ষা নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে এবারের ভর্তি লড়াই শুরু হয়ে গেছে। ২ এপ্রিল মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই পরীক্ষার ফলও ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে উচ্চশিক্ষায় মূল ভর্তি-লড়াই শুরু হয় বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের আলোচনা অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়ার সময়সূচি ছিল।

বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত

বাংলাদেশে নতুন করে কৃষি বিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী