in ,

সোলাইমানি হত্যায় নৃশংসতার অজানা তথ্য!

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস শাখার কমান্ডার নিহত কাসেম সোলাইমানিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধারণ করা একটি মিউজিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গেল বছর মার্কিন হামলায় তিনি নিহত হন।

কাসেম সোলাইমানি ইরানি বিপ্লবী গার্ডের বিদেশ শাখা কুদসের প্রধান ছিলেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন তিনি।

চার মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিওটির শিরোনাম ‘তুমি উদ্ভাসিত’। গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক হাসান তাভাকোলি।

ভিডিওটি ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে। গানের কথাগুলো হলো: আপনার নাম কিউ. এস (কাসেম সোলাইমানি), আপনি মানবতার নায়ক। আপনি বুদ্ধিমত্তার সীমা অতিক্রম করেছেন, বৈশ্বিক দাম্ভিকার শিড়দার চূর্ণ করে মাটিয়ে মিশিয়ে দিয়েছেন। আপনি প্রতিটি জুলুমের নিন্দা জানিয়েছেন।

গানের কথায় আরও বলা হয়, আপনি যাওয়ার পর থেকে, আমি অবশ্যই তা স্বীকার করছি, বিশ্ব একটি পরিপূর্ণ বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। আপনি সেতু ছিলেন, যা অন্তরসমূহে ‍যুক্ত ছিল। আমরা যখনই সংকটে পড়েছি, আপনাকে পেয়েছি। যেখানে তাকাই আপনার পদচিহ্ন দেখতে পাই। আপনি বিশ্বকে খুব ভালো একটি জায়গা বানাতে চেয়েছেন। জুলুমকারীরা কখনো আপনার কঠোর চাহনি ভুলতে পারবে না। জুলুমকারীরা কখনো আপনার হাসিমাখা মুখ ভুলতে পারবে না।

ভিডিও ক্লিপে তাভারোকি আরও গেয়েছেন, আপনি নির্মমভাবে শহীদ হলেও, বিশ্বজুড়ে আপনার একটি বাহিনী তৈরি হচ্ছে। কারণ মানুষ এ বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশে ক্লান্ত। মানুষ আপনার মতো অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়।

ভিডিওটি প্রকাশের পর এ পর্যন্ত কয়েক লাখ বার দেখা হয়েছে। পড়েছে সমালোচনার মুখেও। তুলে ধরা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের ফিরিস্তি।

২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রাফিক আল হারিরি হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করা হয় সোলাইমানিকে। ২০১৩ সালে নিউইয়র্কারে প্রকাশ হওয়া এক নিবন্ধে লেবাননের জন্য গঠিত জাতিসংঘের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ তদন্তকর্মকর্তার সন্দেহ, এ হত্যায় ইরান জড়িত।

সাবেক জ্যেষ্ঠ সিআইএ কর্মকর্তা রবার্ট বাউয়ার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি ইরান জড়িত থাকে রফিক হারিরি হত্যায়, তাহলে সন্দেহাতীতভাবে ওই হামলার মূলে ছিলেন কাসেম সোলাইমানি।

গেল বছর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সোলাইমানির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, সিরিয়ার হত্যাকারী শাসককে সমর্থন দিয়েছেন সোলাইমানি। সিরিয়ার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আসাদের (সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ) নৃশংসতায় সবধরনের সহায়তা করেছেন তিনি।

বিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন সোলাইমানি। কুদস বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য পাঠিয়েছেন সিরিয়ায়। যারা সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং আসাদের মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, সহায়তা করেছে।

২০১১ সালের মে মাসের এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়ার সেনা গোয়েন্দা বিভাগকে সহায়তা করছে ইরান। তাতে প্রধান ভূমিকায় বিপ্লবী গার্ডের প্রধান কাসেম সোলাইমানি। তার সহায়তায় সিরীয় সরকার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে। এসবের ভিত্তিতে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ, সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সোলাইমানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

১৯৯২ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেসে ইসরাইলের দূতাবাস এবং ১৯৯৪ সালে ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে সোলাইমানির কুদস বাহিনী হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওইসব হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

পেন্স জানান, ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদেল আল জুবেইরকে হত্যাচেষ্টার গোড়ায় ছিলেন সোলাইমানি। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা তদারকি করছিলেন তিনি।

বলেন, সোলাইমানির হত্যা পরিকল্পনার শেষ ছিল না। নিহতের আগে মার্কিন কূটনৈতিক এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তার।

৩ জানুয়ারি সোলাইমানি হত্যার প্রথম বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে ইরান অথবা তাদের মিলিশিয়ারা যে কোনো কিছু ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।

টিকা কিনতে আজ ৬০০ কোটি টাকা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দলে থাকছেন মাশরাফী