ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

প্রচ্ছদঅর্থনীতিসরবরাহ চেইন সচল থাকায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সরবরাহ চেইন সচল থাকায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত :

নিজস্ব প্রতিবেদক

spot_img

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ চেইন সচল থাকায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচামালের অভাব থাকা সত্ত্বেও জ্ঞানার্জন, দক্ষতা ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা গবেষণা ব্যুরোর উদ্যোগে  ‘ব্যবসার ভবিষ্যৎ: উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, লেবার প্রোডাক্টিভিটি, ইউটিলিটি প্রোপরশন, লজিস্টিক এক্সিলেন্স, কষ্ট টু ফিন্যান্স, অ্যাকসেস টু ফিন্যান্স এবং অ্যাকসেস টু মার্কেট নিশ্চিত করতে পারলে কাঁচামালের অভাব কাটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকলে বাংলাদেশ পাঁচ বছরের মধ্যেই সোনার খনিতে পরিণত হতে পারে।

রমজান মাসের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকারের অর্থ বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় সরবরাহ চেইন সচল থাকায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছিল। তথাকথিত সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। সাপ্লাই সাইড ঠিক রাখা তখন কঠিন ছিল। কিন্তু সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টা এবং ব্যবসায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা পরিস্থিতি সামলে উঠতে সক্ষম হই।’

রিজার্ভ পরিস্থিতি উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর রিজার্ভ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার এবং দায় ছিল প্রায় ৬ বিলিয়ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সব দায় শোধ করার পর বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।

ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী শাসকেরা ক্রোনিস তৈরি করে সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। ভবিষ্যৎ সরকার যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাজার পরিচালনা করে এবং নিরপেক্ষ সংস্কার আনে, তবে বাজার আরও শক্তিশালী হবে এবং সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

Latest articles

ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীদের চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে প্রায়...

চট্টগ্রামে ১৬ আসনের ৮৬ ভোটকেন্দ্র নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের আপত্তি

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।...

চট্টগ্রামে মনোরেলের সার্ভে শুরু

চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)...

নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় । এ...

More like this

ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীদের চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে প্রায়...

চট্টগ্রামে মনোরেলের সার্ভে শুরু

চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)...

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার (এসএসসি) উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে দুর্নীতি দমন...