এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে ‘সন্তুষ্ট হতে না পেরে’ খাতা চ্যালেঞ্জেও রেকর্ড হয়েছে।
প্রতিবছরই পাবলিক পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। এবছরও দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার দুই লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী মোট চার লাখ ২৮ হাজার ৪৫৮টি খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছেন।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৬৬ হাজার শিক্ষার্থী, আর সর্বনিম্ন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ৭ হাজার ৯১৬ পরীক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজারটি পত্রের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সে হিসাবে ১৬ নভেম্বর দিনটি পড়ে। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর গত ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।
প্রতিপত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের ৬৬ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। তারা মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন।
কুমিল্লা বোর্ডে ২২ হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৪৪টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
রাজশাহী বোর্ডে ২০ হাজার ৯২৪ জন পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ১০২টি পত্রের খাতা।
যশোর বোর্ডে ২০ হাজার ৩৯৫ শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ২০৫টি পত্রের খাতা।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ২২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী ৪৬ হাজার ১৪৮টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
সিলেট বোর্ডে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ৪৪ জন পরীক্ষার্থী, তারা ২৩ হাজার ৮২টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
বরিশাল বোর্ডে ৮ হাজার ১১ জন পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার ৪৮৯টি পত্রের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
দিনাজপুর বোর্ডে আবেদনকারী পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার ৩১৮ জন, তারা ২৯ হাজার ২৯৭টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫ হাজার ৫৯৮ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন ৩০ হাজার ৭৩৬ টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১২ হাজার ৭ জন শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৩৭৮টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
আর সবশেষ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ৭ হাজার ৯১৬ পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৭৩৩টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

