দিনের বেলায় ঘুমকে অনেকেই “রিসেট বাটন” হিসেবে মনে করেন। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর অল্প সময়ের জন্য নেওয়া ঘুম, যা ভাতঘুম নামে পরিচিত, শরীর ও মনের জন্য এক প্রকার পুনরুজ্জীবন। গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, মেজাজ সতেজ রাখতে এবং কাজে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে জীবনের অন্যান্য বিষয়গুলোর মতো, দিনের ঘুমও পরিমিত হলে সবচেয়ে উপকারী।
দিনের বেলা ঘুমের সুবিধা
দিনের বেলা সঠিক সময়ে নেওয়া ঘুম শরীরকে রিচার্জ করার এক শক্তিশালী উপায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের দুপুরের ঘুম নিলে নীচের সুফলগুলো পাওয়া যায়:
মনোযোগ এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি
শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করা
চাপ এবং মানসিক ক্লান্তি কমানো
মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা
এটি মূলত শরীরকে ছোট বিরতি দিয়ে পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দেয়।
কখন ঘুম ক্ষতিকর হতে পারে?
যখন দিনের ঘুম দীর্ঘায়িত হয় বা ঘন ঘন হয়, তখন তা সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এক ঘণ্টার বেশি ভাতঘুম ঘুম থেকে ওঠার সময় জড়তা এবং দিশেহীন অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি ব্যাহত করে, রাতে ঘুমের মান কমায় এবং সার্বিকভাবে ঘুমের সমস্যা বাড়ায়।
গবেষণা দেখিয়েছে, নিয়মিত দীর্ঘদিন ৬০ মিনিটের বেশি দিনের ঘুম নেওয়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। যদিও এটি সরাসরি কারণ নয়, তবে দীর্ঘ ভাতঘুম প্রায়ই রাতের ঘুমের সমস্যা বা অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
কীভাবে ভাতঘুম করবেন?
দুপুরের বেলা অল্প সময়ের জন্য ঘুম নেওয়া মোটেও খারাপ নয়। তবে নিয়মিত দীর্ঘ বা অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস না করা উচিত। সঠিক সময় এবং পরিমিত দৈর্ঘ্যে ভাতঘুম নিলে শরীর ও মনকে সতেজ রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, দিনের বেলায় যখন-তখন ঘুমানোর বদলে, দুপুরের খাবারের পর সংক্ষিপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন। এতে শরীর সতেজ থাকবে এবং রাতের ঘুমও ভাল হবে।