গাজর খাওয়ার সময় সাধারণত খোসা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজরের মতো এর খোসাতেও রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মাকোগনসি অ্যান্ড ফাইটোকেমিক্যালস রিসার্চ’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজরের খোসা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর।
এছাড়া এতে ভিটামিন এবং খনিজের উপস্থিতিও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
গাজরে থাকে ভিটামিন এ, কে, বি৬, পাশাপাশি পটাশিয়াম ও বায়োটিনের মতো খনিজ। এর অনেকটাই আসলে থেকে যায় খোসার মধ্যে। ফলে খোসা ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি নষ্ট হয়।
১. খোসা ভাজা
আলুর খোসা ভাজার মতো গাজরের খোসাও ভেজে খাওয়া যায়। তবে কম তেলে ও কম আঁচে রান্না করতে হবে। রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে নিলেই তৈরি হবে সুস্বাদু পদ।
২. স্মুদি বা জুস স্মুদি কিংবা সবজির রস তৈরির সময় খোসাসহ গাজর ব্যবহার করলে এতে মেলে বিটা ক্যারোটিন, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩. সার হিসেবে ব্যবহার
খোসা শুকিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিলে তা প্রাকৃতিক সার হয়ে যায়। চাইলে শুকিয়ে গুঁড়ো করেও সার হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজরের খোসা শুধু খাবারে নয়, কৃষিকাজেও কার্যকর। তাই এর গুণাগুণ জেনে আর ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করাই ভালো।